May 16, 2024, 2:00 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
অনলাইনে আলোচিত তনির ভয়ংকর প্রতারণা, সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা। ভালুকায় নবনির্মিত ৩টি রাস্তার উদ্ধোধন ফেসবুক রিলস থেকে আয় করবেন যেভাবে। যশোরের শার্শায় চাচাকে হত্যার দায়ে ১১ বছর পর ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড। ভালুকায় কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ চোখ বলে দিবে শরীরে আছে কতশত রোগ, জানা যাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা! আগামী বাজেটে জলবায়ুর উপর প্রাধান্য দেওয়া জরুরি – আতিউর রহমান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীসুবিধা ফিঃ অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। দেশ সেরা যশোর শিক্ষা বোর্ড এস এস সিতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কবি বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ভালুকায় আসাদুল হিমেল ও নাসিমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ভালুকায় ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক। ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি “প্রগতি”র শ্রদ্ধাঞ্জলি। ” হৃদয় মাঝে রবি” ২৫ এ বৈশাখ এর অনুষ্ঠান পঞ্চ ইউনিয়নের অসাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে মুলাদীতে সমালোচনার ঝড়। যশোরের মন্দিরের স্বর্ণঅলংকারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি। টংগিবাড়ী তে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ডিএসইসির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ। ভালুকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিল। কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা। রেলওয়ের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও ঔষধের দাম কমানোর দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির নাগরিক বিক্ষোভ। নড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ইউপি চেয়ারম্যান সহ আহত-৩ প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নড়িয়া’য় নির্বাচিতো হলেন যারা। ভালুকায় ধান ক্ষেতে পড়েছিলো গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ। নতুন করে আবাসিক গ্যাস সংযোগ দিতে চায় কোম্পানিগুলো, অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে না পেরে এমন প্রস্তাব। ভালুকায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। ০৮ মে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দুপক্ষের প্রস্তুতি। নারায়ণগঞ্জে মামলা তুলে নিতে হুমকী দেওয়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা। শার্শায় ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিতহ ১,আহত ৩ ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ এড. এজে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিনা দোষে ছয় বছর কনডেম সেলে মাজেদা।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিনা দোষে ছয় বছর কনডেম সেলে মাজেদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ার গৃহবধূ মাজেদা বেগম বিনা দোষে সন্তানসহ ছয় বছর রয়েছেন কনডেম সেলে। ধর্ষণ ও ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে পুলিশ তাকে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছিল। এর ভিত্তিতে শিশু রুম্মান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলাটি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য এলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বুধবার তাকে খালাস দেন। এখন তিনি কারামুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন গৃহবধূ মাজেদা বেগম। জবানবন্দি মিথ্যা প্রতীয়মান হওয়ায় বুধবার ফাঁসির আদেশ থেকে তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

সূত্রমতে, গঙ্গাচড়া থানার ঠাকুরদহ মন্দিরপাড়া এলাকায় ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রুম্মান নামে এক শিশু খুন হয়। ১০ জুলাই হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় পাশের বাড়ির গৃহবধূ মাজেদা বেগমকে। গ্রেফতারের পর বেআইনিভাবে মাজেদাকে ২ দিন থানায় আটকে রেখে ১২ জুলাই আদালতে হাজির করা হয়। শিশুটিকে ‘গলাটিপে হত্যা’র কথা স্বীকার করে সেদিনই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। দীর্ঘ আট বছর পর ২০১৫ সালের ৭ মে মাজেদাকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। তার কোলে তখন ১৩ মাসের সন্তান।

সূত্র জানায়, রায়ের দিন ওই শিশুসন্তানকে কোলে নিয়েই আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন মাজেদা। ফাঁসির আদেশ হওয়ায় মৃত্যু পরোয়ানার বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়। এ সময় আদালতের নির্দেশে শিশু মারুফকে নিয়েই মৃত্যুকুঠরিতে ঢোকেন মাজেদা। এখনও তারা সেখানেই রয়েছেন।

সূত্র জানায়, ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে এলে নথি দেখে খটকা লাগে উচ্চ আদালতের। কারণ, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মাজেদা ‘গলাটিপে শিশুটিকে হত্যা’র কথা স্বীকার করলেও, সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলায় রশি প্যাঁচিয়ে রুম্মানকে হত্যার কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, শ্বশুরকে ফাঁসাতে এই হত্যা করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে ‘স্বীকার’ করেন মাজেদা। প্রশ্ন উঠেছে, শ্বশুরকে ফাঁসাতে চাইলে খুন করে লাশ তার বাড়িতেই রাখতে পারতেন মাজেদা। তা না করে কেন লাশটি পরিত্যক্ত মন্দিরে নিয়ে গেলেন?

মাজেদার জবানবন্দির গুরুতর এ ত্রুটি উঠে আসে উচ্চ আদালতের সামনে। তখন জানা যায়, পুলিশ তাকে ধর্ষণ ও তার সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। পরে বিষয়টি সামনে এনে আদালতের কাছে এই জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনও করেছিলেন মাজেদা। তবে বিচারিক আদালত তা আমলে না নিয়ে তাকে ফাঁসির আদেশ দেন।

১৩ মাস বয়সে শিশু মারুফ মায়ের সঙ্গে ঢুকেছিল কনডেম সেলে। এখন তার বয়স ৬ বছর। নিরপরাধ হয়েও মায়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জীবন থেকেও চলে গেছে ৫টি বছর।

নিরপরাধ স্ত্রীর কারাভোগের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার চেয়ে মাজেদার স্বামী সাজু মিয়া বলেছেন পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে তদন্ত করত, তাহলে আমার নিরপরাধ স্ত্রী ও সন্তানের এই শাস্তি পেতে হতো না। ছয়-সাত বছর ধরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, আমি প্রশাসনের কাছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com